খাবারের ওখানে গিয়ে বাবাই আর রনিতের চোখ পরে জিন্স টপ পড়ে থাকা এক রমনির দিকে।
“বাবাই দা ওই মেয়েকে শুধু আমি খেতে দেবো ,আর কেও দেবে না”।(রনিত)
“বোকা** ওই সব আগে থেকে বুক করা যাবে না ,যে আগে পটাতে পারবে” (বাবাই)
“ঠিক আছে তাই হবে , যাও তুমি খেতে দাও আমি চেয়ারে বসে একটু চোখে চোখটা সেট করি”(রনিত)
“তুই শুধু দেখ তোর দাদা যাবে চোখে চোখ রাখবে আর মেয়ে প্রেমে পড়ে যাবে”(বাবাই)
“যাও সোনা আমিও দেখি কিভাবে মেয়েটা তোমার প্রেমে পড়ে” (রনিত)
এরপর বাবাই মেয়েটির কাছে যাই খাবার পরিবেশন করতে কিন্তু মেয়েটি তাকে কাকু সম্বোধন করে ।
কিন্তু মেয়েটি কেন বাবাই কে কাকু বলল ?
আসুন একটু ফ্ল্যাশব্যাকে গিয়ে দেখি ঘটনাটা কি ঘটেছিলো ।
আসলে বাবাই আর রনিত যখন গল্প করছিলো তখন কোনো এক কাকু মার্কা লোক এসে সেই মেয়েটিকে খাবার পরিবেশন
করে চলে গিয়েছে তাই বাবাই যখন খাবার পরিবেশন করতে গেলো তখন মেয়েটি তার মুখের দিকে না তাকিয়েই কাকু
বলে ফেলেছিল ।কিন্তু বাবাই তো আসল ঘটনাটা জানে না তাই কাকু ডাক শুনে বাবাই-এর যা আশা ছিল সব নষ্ট হয়ে
গেলো ।
“ কি হল বাবাইদা মেয়েটা কি বলল তোমাকে ?” (রনিত)
“আমি অনেক ভাবলাম বুঝলি ,আমি আর মেয়ে পটাবো না আমার মেয়ে পটাতে একদম ভালো লাগে না।” (বাবাই)
“জানি তো সোনা, কথাই আছে আঙ্গুর ফল টক” (রনিত মুচকি হেসে বলল)
“যাই হোক বাবাইদা, মেয়েটার নাম জানতে না পারলে শান্তি হচ্ছে না”(রনিত)
[রনিতের এই কথাটা বলা মাত্রই কেও একজন বলে উঠলো “নুপুর তোর দিদি ডাকছে ,যা ওকে একটু শাড়িটা পড়তে সাহায্য করগা]
“তার মানে এর নাম নুপুর ,আর এর একটা দিদি আছে। বাবাই দা কি ভাবছো?”(রনিত)
“এই ভাই, আমার সোনা ভাই একটা কথা বলবো ,বল তুই রাখবি?” (বাবাই)
“বলো কি বলবে”(রনিত)
“প্লিস তুই না আর বড়োটার দিকে নজর দিস না। একজন কাকু বলেছে তাও আমি আর একটা সুযোগ চাই” (বাবাই)
“কিন্তু তুমি তো বললে আর মেয়ে পটাবে না।”(রনিত)
“ধুর বোকা এতো কথা ধরতে আছে নাকি ।তুই তো জানিস আমি কখন যে কি বলি বুঝতেই পারি না”(বাবাই)
[কথাটা বলতে বলতে বাবাই আর রনিতের চোখ যাই সামনে থেকে হেঁটে আসা এক রমনির দিকে যার পরনে আছে লাল
কালো শাড়ি, ঠোটে লাল লিপস্টিক, চোখে কাজল, কপালে ছোটো একটা টিপ, কানে বড়ো বড়ো ঝুমকো আর হাতে ঘড়ি….
“একি পরিনিতা তুমি এখানে?” (রণিত কাঁপা কণ্ঠে বলল)
[তাহলে কি রনিত মেয়েটিকে আগে থেকে চেনে ?কিন্তু কিভাবে?]
জানতে গেলে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন