[ ঝিলামকে দেখার পর রনিত বাবাইকে জানাই যে সে নুপুরের সাথে না, ঝিলামের সাথে ফ্লার্টিং করবে । এই শুনে বাবাই
শান্তি পাই ।]
বাবাই :- ভাই তুই খবর লাগাতো নুপুরের অন্য কারও সাথে চক্কর চলছে নাকি।
রনিত :- ঠিক আছে আমি দেখছি ।
বাবাই :- দেখবি ঝিলামের কেও থাকতে পারে, ওকে দেখে মনে হচ্ছে কেও আছে।
রনিত :- সে থাকুক আমার কোনও প্রবলেম নেই । শুধু আজকের দিনটা কাটলেই হবে । আর এমনিতেও এর আগেও অনেক
মেয়ের বয়ফ্রেন্ড থাকা সত্ত্বেও আমি মাঝে ঢুকে নিজের জায়গা করে নিয়েছি তাই এগুলো কোনও ব্যাপার না ।
বাবাই :- বেশ চল , ব্যাগে করে যেই মালটা এনেছি ওটা শেষ করতে হবে তারাতারি কেও যদি ভুল করে আমার ব্যাগে হাত
দেই তাহলে বোতলটা দেখতে পেয়ে যাবে ।
[ বাবাই আর রনিত মাল খেতে চলে গেলো । কিন্তু নায়িকা কি করছে?]
ঝিলাম ( মনে মনে ভাবছে) :- কেন জানিনা রনিত নামের ওই ছেলেটাকে দেখে খুব কাছের মনে হচ্ছে । মনে হচ্ছে কিছু স্পেশাল আছে ওর মধ্যে বিশেষ করে ওর চোখে ।ধুর কি যে ভাবছি , আমি এইসব নিয়ে ভাববো না শুধু ভালো লেগেছে একটু ফ্লার্টিং করবো তার পর ছেড়ে দেবো।
[ ঝিলামকে অন্য মনস্কো থাকতে দেখে নুপুর বলল ]
নুপুর :- কি ব্যাপাররে তোর, ওইদিকে তাকিয়ে কি ভাবছিস ?
ঝিলাম (চমকে উঠে বলল):- কিছু না, কিছু না ।কি আর ভাববো আমি তো পাখি দেখছিলাম ।
নুপুর :- ওহ, বুঝলাম। ওই মানুষের মতো দেখতে পাখিটার কথা বলছিস তো , যেটা এখুনি তোর সামনে দিয়ে উড়ে গেল?
ঝিলাম (মুচকি হেসে বলল) :- তুই খুব বদমাশ হয়েছিস , মার খাবি এবার।
[ এরপর ঝিলাম ওর বোনদের সাথে গল্প করতে থাকে আর মনে মনে ঠিক করে যে এবার রনিত যখন ওর সামনে আসবে তখন সে রনিতের সাথে কথা বলার চেস্টা করবে । আর অন্যদিকে রনিতও ঠিক করে যে এবার যখন সে ঝিলামের সামনে থাকবে তখন সে যেমন করেই হোক ঝিলামের সাথে কথা বলবে।]
গল্পের নায়ক আর নায়িকা কখন যে একে-অন্যের সাথে কথা বলা শুরু করবে কিছু বুঝতেই পারছি না ।
আশা করি পরের পর্বে ওদের কথা হবে । আমি তো থাকছি পরের পর্বে, আপনারা থাকছেন তো ?